Class 6 math quadrilateral || ৬ষ্ঠ শ্রেণি গণিত চতুর্ভুজ
চতুর্ভুজ
চতুর্ভুজ : চারটি রেখাংশ দ্বারা আবদ্ধ চিত্রকে চতুর্ভুজ বলে।

চিত্রে ABCD একটি চতুর্ভুজ
১। কর্ণ: চতুর্ভজের বিপরীত কৌণিক বিন্দুদ্বয়ের সংযোগ রেখাংশকে কর্ণ বলে।
২। চতুর্ভুজের ২ টি কর্ণ থাকে।
৩। চতুর্ভুজের চার কোণের সমষ্টি ৩৬০°।
৪। চতুর্ভুজের যেকোন দুটি সন্নিহিত কোণের যোগফল ১৮০°।
৫। পরিসীমা: চতুর্ভুজের চার বাহুর দৈর্ঘ্যরে সমষ্টিকে চতুর্ভুজের পরিসীমা বলে।
৬। চর্তুভুজের কর্ণদ্বয়ের সমষ্টি তার পরিসীমা অপেক্ষা ক্ষুদ্রতর।
Class 6 Math Quadrilateral Properties and Examples || ৬ষ্ঠ শ্রেণি গণিত চতুর্ভুজ প্রকার ও বৈশিষ্ট্য
সামান্তরিক: যে চতুর্ভুজের বিপরীত বাহুগুলো পরস্পর সমান ও সমান্তরাল তাকে সামান্তরিক বলে।

চিত্রে ABCD একটি সামন্তরিক
বৈশিষ্ট:
১। সামন্তরিকের কর্ণদ্বয় পরস্পর অসমান।
২। সামন্তরিকের একটি কর্ণ দুটি বিষমবাহু ত্রিভুজ তৈরি করে।
৩। সামন্তরিকের কর্ণদ্বয় পরস্পরকে সমদ্বিখন্ডিত করে।
৪। সামন্তরিকের বিপরীত কোণগুলো পরস্পর সমান।
পরিমিতি:
(ক) সামন্তরিকের ক্ষেত্রফল =( ভূমি × উচ্চতা ) বর্গ একক
(খ) সামন্তরিকের পরিসীমা = ২ × সন্নিহিত বাহুদ্বয়ের যোগফল একক
Class 6 Math Quadrilateral Types and Features || ৬ষ্ঠ শ্রেণির গণিত চতুর্ভুজের ধরন ও বৈশিষ্ট্য
আয়তক্ষেত্র : যে সামন্তরিকের প্রত্যেক কোণ এক সমকোণ তাকে আয়তক্ষেত্র বলে।

চিত্রে ABCD একটি আয়তক্ষেত্র
বৈশিষ্ট:
১। আয়তক্ষেত্রের কর্ণদ্বয় পরস্পর সমান।
২। আয়তক্ষেত্রের একটি কর্ণ দুটি সমকোণী ত্রিভুজ তৈরি করে।
৩। আয়তক্ষেত্রের কর্ণদ্বয় পরস্পরকে সমদ্বিখন্ডিত করে।
পরিমিতি:
(ক) আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল =( দৈর্ঘ্য × প্রস্থ ) বর্গ একক
(খ) আয়তক্ষেত্রের পরিসীমা = ২( দৈর্ঘ্য + প্রস্থ ) একক
৬ষ্ঠ শ্রেণি গণিত চতুর্ভুজ সমাধানসহ সহজ ব্যাখ্যা || Class 6 Math Quadrilateral Explained
বর্গক্ষেত্র: যে সামন্তরিকের প্রত্যেক বাহু পরস্পর সমান এবং প্রত্যেক কোণ এক সমকোণ তাকে বর্গক্ষেত্র বলে।

চিত্রে ABCD একটি বর্গক্ষেত্র
বৈশিষ্ট:
১। বর্গক্ষেত্রের কর্ণদ্বয় পরস্পর সমান।
২। বর্গক্ষেত্রের একটি কর্ণ দুটি সমকোণী সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ তৈরি করে।
৩। বর্গক্ষত্রের কর্ণদ্বয় পরস্পরকে সমকোণে সমদ্বিখন্ডিত করে।
পরিমিতি:
(ক) বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল =( বাহু × বাহু ) বর্গ একক
(খ) বর্গক্ষেত্রের পরিসীমা = ৪ × এক বাহুর দৈর্ঘ্য একক
Quadrilateral for Class 6 with Bangla Explanation || ৬ষ্ঠ শ্রেণির গণিত চতুর্ভুজ
রম্বস: যে সামন্তরিকের প্রত্যেক বাহু পরস্পর সমান তাকে রম্বস বলে।

চিত্রে ABCD একটি রম্বস
বৈশিষ্ট:
১। রম্বসের কর্ণদ্বয় পরস্পর অসমান।
২। রম্বসের একটি কর্ণ দুটি সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ তৈরি করে।
৩। রম্বসের কর্ণদ্বয় পরস্পরকে সমকোণে সমদ্বিখন্ডিত করে।
৪। রম্বসের বিপরীত কোণগুলো পরস্পর সমান।
পরিমিতি:
(ক) রম্বসের ক্ষেত্রফল = \[\frac{1}{2}\] × কর্ণদ্বয়ের গুণফল বর্গ একক
(খ) রম্বসের পরিসীমা = ৪ × এক বাহুর দৈর্ঘ্য একক
Class 6 Math Quadrilateral Details in Bangla || ৬ষ্ঠ শ্রেণি গণিত চতুর্ভুজের প্রকারভেদ
ট্রাপিজিয়াম: যে চতুর্ভজের মাত্র একজোড়া বাহু সমান্তরাল তাকে ট্রাপিজিয়াম বলে।

চিত্রে ABCD একটি ট্রাপিজিয়াম
বৈশিষ্ট:
১। ট্রাপিজিয়ামের অসমান্তরাল বাহুদ্বয়কে তীর্যক বাহু বলে।
২। তীর্যক বাহু সংলগ্ন কোণদ্বয়ের যোগফল ১৮০°।
পরিমিতি:
(ক) ট্রাপিজিয়ামের ক্ষেত্রফল = \[\frac{1}{2}\] × সমান্তরাল বাহুদ্বয়ের দৈর্ঘ্যরে সমষ্টি × এদের উচ্চতা বর্গ একক
নোট: বর্গ ও রম্বসের কর্ণদ্বয় পরস্পরকে সমকোণে সমদ্বিখন্ডিত করে।
সামান্তরিক, আয়ত, বর্গ ও রম্বসের মধ্যে সম্পর্ক

১। সামান্তরিকের কোণগুলো সমকোণ হলে তাকে আয়ত বলে।
২। সামান্তরিকের কর্ণদ্বয় সমান হলে তাকে আয়ত বলে।
৩। আয়তের কোণগুলো সমকোণ না হলে তাকে সামান্তরিক বলে।
৪। আয়তের কর্ণদ্বয় সমান না হলে তাকে সামান্তরিক বলে।
৫। সামান্তরিকের সকল বাহু সমান হলে তাকে রম্বস বলে।
৬। রম্বসের সন্নিহিত বাহুদ্বয় সমান না হলে তাকে সামান্তরিক বলে।
৭। রম্বসের কোণ গুলো সমকোণ হলে তাকে বর্গ বলে।
৮। রম্বসের কর্ণদ্বয় সমান হলে তাকে বর্গ বলে।
৯। বর্গের কোণ গুলো সমকোণ না হলে তাকে রম্বস বলে।
১০। বর্গের কর্ণদ্বয় সমান না হলে তাকে রম্বস বলে।
১১। আয়তের সকল বাহু সমান হলে তাকে বর্গ বলে।
১২। বর্গের সন্নিহিত বাহুদ্বয় সমান না হলে তাকে আয়ত বলে।

১৩। আয়তক্ষেত্রের প্রত্যক বাহুর মধ্যবিন্দু পর্যায়ক্রমে যোগ করলে যে চতুর্ভুজ তৈরি হয় তাকে রম্বস বলে।
১৪। রম্বসের প্রত্যক বাহুর মধ্যবিন্দু পর্যায়ক্রমে যোগ করলে যে চতুর্ভুজ তৈরি হয় তাকে আয়ত বলে।
১৫। বর্গের প্রত্যক বাহুর মধ্যবিন্দু পর্যায়ক্রমে যোগ করলে যে চতুর্ভুজ তৈরি হয় তাকে বর্গ বলে।
১৬। সামান্তরিকের প্রত্যক বাহুর মধ্যবিন্দু পর্যায়ক্রমে যোগ করলে যে চতুর্ভুজ তৈরি হয় তাকে সামান্তরিক
বলে।
শুণ্যস্থান পূরণ কর:
১। চারটি রেখাংশ দ্বারা আবদ্ধ চিত্রকে —- বলে।
২। চতুর্ভুজের —————— টি কর্ণ থাকে।
৩। চতুর্ভুজের চার কোণের সমষ্টি ————–
৪। যে চতুর্ভুজের বিপরীত বাহুগুলো পরস্পর সমান ও সমান্তরাল এবং কোন কোণই সমকোণ নয় তাকে ——- বলে।
৫। সামন্তরিকের বিপরীত কোণগুলো পরস্পর —
৬। সামন্তরিকের সন্নিহিত কোণগুলোর যোগফল —————-
৭। যে চতুর্ভুজের বিপরীত বাহুগুলো পরস্পর সমান ও সমান্তরাল এবং প্রত্যেক কোণ এক সমকোণ তাকে—— বলে।
৮। আয়তক্ষেত্রের চারটি কোণ —————-
৯। আয়তক্ষেত্রের কর্ণ দুটি পরস্পর ————
১০। আয়তক্ষেত্রের কর্ণ দুটি পরস্পরকে —- করে।
১১। আয়তক্ষেত্রের একটি কর্ণ দুটি ——– ত্রিভুজ উৎপন্ন করে।
১২। যে চতুর্ভুজের প্রত্যেক বাহু পরস্পর সমান এবং প্রত্যেক কোণ এক সমকোণ তাকে—-বলে।
১৩। বর্গক্ষেত্রের চারটি কোণ —————-।
১৪। বর্গক্ষেত্রের কর্ণ দুটি পরস্পর ————।
১৫। বর্গক্ষেত্রের কর্ণ দুটি পরস্পরকে সমকোণে —————– করে।
১৬। বর্গক্ষেত্রের একটি কর্ণ দুটি —————— ত্রিভুজ উৎপন্ন করে।
১৭। যে চতুর্ভুজের বাহুগুলো পরস্পর সমান এবং সকল কোণই সমকোণ তাকে ———– বলে।
১৮। রম্বসের বিপরীত কোণগুলো পরস্পর —–
১৯। রম্বসের সন্নিহিত কোণগুলোর যোগফল —-
২০। রম্বসের কর্ণ দুটি পরস্পরকে ——- করে।
২১। সামন্তরিকের কর্ণ দুটি পরস্পরকে—–করে।
২২। আয়তক্ষেত্রের সন্নিহিত বাহুদ্বয় সমান হলে তাকে —– বলে।
২৩। সামন্তরিকের প্রত্যেকটি বাহু সমান হলে তাকে —– বলে।
২৪। রম্বসের প্রত্যেকটি কোণ ৯০° হলে উহাকে —— বলে।
২৫। রম্বসের কোণগুলো সমকোণ হলে তাকে ——— বলে।
২৬। সামন্তরিকের সন্নিহিত বাহুদ্বয় পরস্পর —–
২৭। একটি বর্গক্ষেত্রের কর্ণ —- টি।
২৮। ট্রাপিজিয়াম, বর্গক্ষেত্র, রম্বস ও আয়তক্ষেত্রের মধ্যে ———সামন্তরিক নয়।
২৯। যে সামন্তরিকের কর্ণদ্বয় পরস্পর সমান তাকে ——- বলে।
৩০। যে চতুর্ভজের মাত্র একজোড়া বাহু সমান্তরাল তাকে —————- বলে।
৩১। ট্রাপিজিয়ামের তীর্যক বাহু সংলগ্ন কোনদ্বয় ———-
৩২। ট্রাপিজিয়ামের সমান্তরাল বাহুদ্বয় ব্যতীত অপর দুটি বাহুকে ———- বলে।
৩৩। আয়তক্ষেত্রের বিপরীত বাহুদ্বয় পরস্পর —-
৩৪। চতুর্ভজের বিপরীত কৌণিক বিন্দুদ্বয়ের সংযোগ রেখাংশকে ———- বলে।
৩৫। বর্গের কর্ণদ্বয় অসমান হলে তাকে — বলে।
৩৬। সামন্তরিকের পাশাপাশি কোনদ্বয়ের সমষ্টি —
৩৭। ট্রাপিজিয়ামের তীর্যক বাহু সংলগ্ন কোণদ্বয় পরস্পর ——————–
৩৮। আয়তক্ষেত্রের প্রত্যেক বাহুর মধ্যবিন্দু গুলো পর্যায়ক্রমে যোগ করলে ————– তৈরি হয়।
৩৯। বর্গক্ষেত্রের প্রত্যেক বাহুর মধ্যবিন্দু গুলো পর্যায়ক্রমে যোগ করলে ————– তৈরি হয়।
৪০। সামন্তরিকের প্রত্যেক বাহুর মধ্যবিন্দু গুলো পর্যায়ক্রমে যোগ করলে ————– তৈরি হয়।
৪১। রম্বসের প্রত্যেক বাহুর মধ্যবিন্দু গুলো পর্যায়ক্রমে যোগ করলে ————– তৈরি হয়।
উত্তরমালা
১। চতুর্ভুজ
২। ২ টি
৩। ৩৬০°
৪। সামন্তরিক
৫। সমান
৬। ১৮০°
৭। আয়তক্ষেত্র
৮। সমকোণ বা সমান
৯। সমান
১০। সমদ্বিখন্ডিত
১১। সমকোণী
১২। বর্গ
১৩। সমকোণ
১৪। সমান
১৫। সমদ্বিখন্ডিত
১৬। সমকোণী সমদ্বিবাহু
১৭। বর্গ
১৮। সমান
১৯। ১৮০°
২০। সমকোণে সমদ্বিখন্ডিত
২১। সমদ্বিখন্ডিত
২২। বর্গ
২৩। রম্বস
২৪। বর্গ
২৫। বর্গ
২৬। অসমান
২৭। ২
২৮। ট্রাপিজিয়াম
২৯। আয়তক্ষেত্র
৩০। ট্রাপিজিয়াম
৩১। অসমান
৩২। তীর্যকবাহু
৩৩। সমান
৩৪। কর্ণ
৩৫। রম্বস
৩৬। ১৮০°
৩৮। রম্বস
৩৯। বর্গ
৪০। সামন্তরিক
৪১। আয়ত